Directed by – KAMALESHWAR MUKHERJEE
Rating: 8.1/10
সবার আগে আমি দেব দা ও কমলেশ্বর বাবুকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা বিষয়ের উপর স্কৃপ্ট নিয়ে বাংলা কমার্শিয়াল ছবি বানানোর জন্য। বর্তমান সময়ে ধসে পড়া বাংলা কমার্শিয়াল ইন্ডাস্ট্রির পুনরুদ্ধারের জন্য একটি আশার আলো , হয়ে এসেছে এই ছবিটি। ‘ডার্ক নেট’ বা ‘ডার্ক ওয়েব’ এর বিষয়ে নির্মিত প্রথম বাংলা ছবি এটি, যা অত্যন্ত কম বাজেটে নির্মিত (৫ কোটি)। কিন্তু নির্মান দেখে আপনাদের মনে হবে কোনো বলিউড বা সাউথের ছবি দেখছেন, কারন নির্মান কাজ ততটাই ব্রিলিয়ান্ট। বিশেষত VFX(GREEN SCREEN), অ্যাকশন কোরিয়োগ্রাফি( বিশেষত শ্যুটাউট), BGM বিশেষত সিরিয়াস দৃশ্যে সেতারের সুর ব্যবহার করে তাকে আরো ইন্টেন্স করা যায় শুধু বাংলাতেই না গোটা ভারতীয় সানেমায় খুব একটা লক্ষ করা যায়না, এবং সর্বোপরি সিনেমাটোগ্রাফি। এক কথায় দারুন। ছবির চিত্রনাট্য খুবই সিরিয়াস ভাবে শুরু হয় ও প্রথমার্ধেই ছবির বিষয়ের ডায়াগ্রাম দর্শকদের সামনে রাখা হয়েছে, যে বর্তমানে ডার্ক ওয়ার্ল্ড ঠিক কতটা সকৃয় ও কিভাবে মানুষ তাদের অজান্তেই এদের ঘরে টেনে আনছে, এমনকি দেশের সরকার ও নিরাপত্তা সংগঠন পর্যন্ত এদের দ্বারা মনিটর হচ্ছেন। গল্পে একটি সংগঠন দেখানো হয়েছে যার নাম “অনিয়ন”, যা গোটা পৃথিবীর ডার্ক ওয়েবকে পরিচালনা করে, এবং এর মাথা হলেন “পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়”। তার নিজেরো একটি অতীত আছে যা খুবই প্যাথেটিক। গল্পে দেবদা একজন পুলিশ অফিসার ও তিনিই সাইবার সেলের কর্তা। তিনি এই অনিয়নের বিরুদ্ধে তার টিম সমেত লড়ছেন। এই সব নিয়ে প্রথমার্ধ সুন্দর ভাবে কখন কেটে যাবে তাই আপনারা বুঝতেই পারবেননা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হলো গলদ, কারন দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ৩০ মিনিট মুল গল্প থেকে চিত্রনাট্য সরে গিয়ে তা পুরো ফ্ল্যাট হয়ে পরে। যদিও পরে তার গতিশীলতা ফিরে আসে। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে ছবির পুরো চিত্রনাট্য বেশ ভালো ও অন্য রকম, এবং আমি বলেরাখি যে ছবির শেষ ১৫ মিনিট একটু মন দিয়ে দেখবেন, নইলে ছবির শেষটা বুঝতে পারবেননা।
- অভিনয়:- ছবিতে দেবদা হলেন লিড, তিনি তার ১০০ শতাংশ দিয়েছেন কিন্তু যিনি এই ছবির মূল আকর্ষণ তিনি হলেন ‘পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়’, তার অভিনয় ও প্রত্যেক ডায়লগের সাথে তার শায়ারি এই ছবির জান। দ্বিতীয়ত রুক্মিনী ও অদৃত নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন।বাকি অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেতৃরাও নিজের চরিত্র সঠিকভাবে পালন করেছেন। কিন্তু আমি পাওলি ম্যামের কারনে হতাশ, কারন তাকে ছবিতে সেভাবে রাখাই হয়নি।
- নেগেটিভ পয়েন্ট:- ছবিতে প্রচুর প্লট হোল আছে, কিন্তু সেগুলোউ এক একটি স্পয়লার। কিন্তু একটি রাজনৈতিক বড় মিস্টেক হলো, পরম দারুন অতীত টা, তার বেসিক গল্পটা দেখানো হলেও তিনি কিভাবে ও কেন এই অনিয়ন খুললেন ও তার জন্য এত টাকা কোথায় পেলেন তার জানাগেলনা। এমনকি ছবিতে একজন RAW এর চিপকে পুলিশের সাথে শ্যুটাউটে যেতে দেখানো হয়েছে। তো আমি অবশেষে বলবো এইসব প্লট হোল গুলিকে ও ফেক রিভিউয়ারদের উপেক্ষা করে এই ছবিটি দেখে আসতে, কারন এইরকম ছবি বাংলায় আগে হয়নি ও এইরকম ছবির আমাদের আরো দরকার।