Directed by: মৈনাক ভৌমিক
Rating: 7.3/10
সবার আগে বলি, ছবিটা আমার ভালো লেগেছে। গতবার ” বর্ন পরিচয় “-এর ক্ষেত্রে যে রকম ডিসাপয়েন্ট হয়েছিলাম সেটা এবার হইনি। কিন্তু ছবিটি এতটা সহজ না হয়ে যদি আরেকটু কমপ্লেক্স হতো তাহলে আরো ভালো হতে পারতো। কিন্তু সকলকে ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।এবং শান্তিলাল বাবুকে এই চরিত্রে দেখে আমি খুবই খুশি।
গল্পটি শহরের একজন ধনী ব্যক্তিকে দিয়ে শুরু হচ্ছে, যিনি তার জন্মদিনের সময় রহস্যজনক ভাবে মারা যান। শান্তিলাল বাবু এই ঘটনার তদন্ত করছেন, এবং এই তদন্তের জন্য তিনি একজনকে খুঁজছেন যে তার তৃতীয় চোখ হবে। ঠিক একই ভাবে অন্য দিকে ঋতব্রতর জীবন দেখানো হচ্ছে যে তার মা-বাবাকে সদ্য হারিয়েছে। সে খুবই বুদ্ধিমান, তীক্ষ্ণ চোখ ও ঘটনা খুবই সহজে মনে রাখতে পারে এবং ফেলুদা-ব্যোমকেশ তার গুলে খাওয়া। তো এবার কিকরে ঋতব্রত, শান্তিলাল বাবুর তৃতীয় চোখ হলো এবং কিকরে তারা এই তদন্তের সমাধান করলেন ও এই ঘটনা খুন নাকি আত্মহত্যা, তা জানার জন্য আপনাদের ছবিটি দেখতে হবে।
গল্পটা অত্যন্ত সাধারন, কিন্তু গল্পের চিত্রায়ন খুবই ভালো। বিশেষ করে যেভাবে গল্পটা বলা হচ্ছে। ক্যাকেকটার ডেভলপমেন্ট খুবই ভালো, বিশেষত ঋতব্রত ও শান্তিলাল বাবুর ক্যাকেকটার এবং তাদের মধ্যের কেমিস্ট্রি, বিশেষত তাদেরই উপর সিনেমার ভরটা রয়েছে। সিনেমাটা যেহতু ক্রাইম ডিটেক্টিভ থ্রিলার, সেই যন্য গল্পে টান টান ভাবটা থাকা আবশ্যক, যা এই ছবিতে আছে। বিশেষত যেখানে ছোটো ছোটো ক্লু গুলো রয়েছে তা খুবই সহজ কিন্তু সঠিক সময় নিয়ে তাকে দেখানো হয়েছে ফলে উত্তেজনাটা বজায় রাখতে পেরেছে। এবং যেহেতু তা সঠিক সময় নিয়ে দেখানো হয়েছে তার জন্য দর্শক সেই ক্লু এর ভিত্তিগুলো বুঝতে পারবে এবং ডিসাপয়েন্ট হবেননা।এবার আসি পজেটিভ ও নেগেটিভ পয়েন্টে।
পজেটিভ: টেকনিক্যাল দিক দুর্দান্ত, বিশেষত সিনেমাটোগ্রাফি, যাতে মৈনাক ভৌমিক প্রত্যেকবার বাজিমেরে দেন। তার সিনেমাটোগ্রাফি সেন্স অসাধারণ। ইন্টারভালের সময় ক্যামেরার কাজের দ্বারা গোয়েন্দা জুনিয়রের সাথে যার তুলনা করিয়েছেন তা অসাধারন।
দুই, গল্প সাজানো ও মূল চরিত্রদের অভিনয়।
তিন, সহজ ও পরিচিত গল্প হওয়া সত্ত্বেও তার চিত্রনাট্য ও ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর।
নেগেটিভ: যে ছোটো খুঁত গুলো আমার মনে হয়েছে তা হলো, অন্যান্য সাইড অভিনেতাদের দেখে মনে হচ্ছিল যে তারা সিরিয়াল করছেন। দুই, ঋতব্রতর সেই চেনা বন্ধুরা ও তার টিনটিন মার্কা চুল।তিন, গল্প খুবই সহজ তাই শেষে কি হবে তা বোঝা যাচ্ছিল।